*
জীববিজ্ঞান ১ম পত্র
২য় অধ্যায় - কোষ বিভাজন
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১) কোষচক্র বলতে কী বুঝ?
উ: একটি স্বতন্ত্র ডিপ্লয়েড কোষে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহের সম্পূর্ণ অনুক্রমকে কোষ চক্র বলা হয়। অর্থাৎ একবার কোষ বিভাজন থেকে শুরু করে পরবর্তী কোষ বিভাজনের শুরু পর্যন্ত অন্তবর্তী সময়কালের মধ্যে একটি কোষে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহের সম্পূর্ণ অনুক্রমকে কোষ চক্র বলে। মাইটোসিস-এর ধাপসমূহ, সাইটোকাইনেসিস ও ইন্টারফেজ নিয়ে কোষ চক্র গঠিত।
২) সাইটোকাইনেসিস কী ব্যাখ্যা কর।
উ: নিউক্লিয়ার বিভাজনের পর সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ও পৃথকীকরণকে সাইটোকাইনেসিস বলে। টেলােফেজ-এর শেষে সাইটোকাইনেসিস শুরু হয়। কোষপ্লেট ও কোষপ্রাচীর গঠনের মাধ্যমে উদ্ভিদকোষে সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ঘটে। সাইটোকাইনেসিস অপেক্ষাকৃত সরল পদ্ধতি এবং এটি সংঘটিত হতে অপেক্ষাকৃত কম সময়ের প্রয়ােজন হয়।
৩) মাইটোসিসকে সমীকরণিক বিভাজন বলা হয় কেন?
উ: মাইটোসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় প্রথমে নিউক্লিয়াস ও পরে সাইটোপ্লাজম মাত্র একবার বিভাজিত হয়ে একটি মাতৃকোষ থেকে সমসংখ্যক ক্রোমােসোেমবিশিষ্ট এবং সমগুণবিশিষ্ট দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়। প্রতিটি অপত্য কোষ ও মাতৃকোষে ক্রোমােসােম সংখ্যা সমান থাকায় একে সমীকরণিক বিভাজন বলা হয়।
৪) মাইটোসিস ও মায়ােসিস কোথায় ঘটে?
উ: মাইটোসিস ঘটে উন্নত নিউক্লিয়াসযুক্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহকোষে। উদ্ভিদের বর্ধনশীল অংশ এ প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়। প্রাণীর স্নায়ুকোষ ব্যতীত সকল দেহকোষও এ প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে থাকে। অপরদিকে মায়ােসিস ঘটে নিম্নশ্রেণির জীবের জাইগােটে এবং উচ্চ শ্রেণির জীবের জনন মাতৃকোষে।
৫) ক্রোমাটিড বলতে কী বুঝ?
উ: কোষ বিভাজনের প্রােফেজ পর্যায়ের শেষে প্রতিটি ক্রোমোেসােম সেন্ট্রোমিয়ার ব্যতীত লম্বালম্বি তন্তুর ন্যায় দু’ভাবে বিভক্ত হয়। ক্রোমােসােমের এমন প্রতিটি তন্তুই হলাে ক্রোমাটিড।
৬) কায়াজমা বলতে কী বােঝ?
উ: প্রথম মায়ােসিস বিভাজনের প্যাকাইটিন উপপর্যায়ের শেষের দিকে বাইভেলেন্টের যে কোননা দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিড সম্ভবত একই স্থানে ভেঙে গিয়ে পুনরায় একটির সাথে অন্যটির জোড়া লাগে। ফলে ঐ জোড়ার স্থানে একটি ইংরেজি 'X' আকৃতির অবস্থা সৃষ্টি হয়। দুটি নন সিস্টার ক্রোমাটিডের 'X' আকৃতির জোড়াস্থলকে বহুবচনে কায়জমাটা বলে, আর একবচনে কায়াজমা বলে।
৭) মিয়ােসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয় কেন?
উ: মিয়ােসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াস দুবার এবং ক্রোমােসােম একবার বিভক্ত হয়। ফলে অপত্য কোষের ক্রোমােসােম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমােসােম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়। মিয়ােসিস কোষ বিভাজনে ক্রোমােসােম সংখ্যা অর্ধেক হাস পায় বলে মিয়ােসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয়।
৮) হ্রাসমূলক বিভাজন বলতে কী বুঝ?
উ: মিয়ােসিস কোষ বিভাজনকে হ্রাসমূলক বিভাজন বা বিয়ােজন বিভাজন বলা হয়। কারন এ বিভাজনের দ্বারা সৃষ্ট অপত্য কোষে ক্রোমােসােম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমােসােম সংখ্যার অর্ধেক হয়। আর এ অর্ধেক হওয়ার পেছনে কারণ হচ্ছে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াসের বিভাজন ঘটে দুবার কিন্তু ক্রোমােসােমের বিভাজন ঘটে একবার।
৯) ক্রসিংওভার কীভাবে নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে?
উ: ক্রসিংওভারে একজোড়া সমসংস্থ ক্রোমােসােমের দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের অংশের বিনিময় ঘটে। আর ক্রোমাটিডের অংশের বিনিময়ের অর্থই হলাে জিনের বিনিময়। এর ফলে নতুন ক্রমের সৃষ্টি হয়। এ জেনেটিক ভ্যারিয়েশনের ফলে নতুন বৈশিষ্ট্যের সৃষ্টি হয়।
১০) ক্রসিংওভার বলতে কী বুঝ?
উ: মিয়ােসিস কোষ বিভাজনের প্রথম প্রােফেজে একজোড়া হােমােলােগাস ক্রোমােসােমের দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে যে অংশের বিনিময় ঘটে তাকে ক্রসিংওভার বলে। ক্রসিংওভারের ফলে ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময়ের ফলে জিনের বিনিময় ঘটে। এতে জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যেরও পরিবর্তন ঘটে ফলে জীবজগতে জীবের মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।
১১) ক্রসিং ওভারের দুটি গুরুত্ব লিখ।
উ: ক্রসিং ওভারের দুটি গুরুত্ব নিম্নরূপ –
- ক্রসিং ওভারের ফলে দুটি ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময় ঘটে, ফলে জিনগত পরিবর্তন সাধিত হয়।
- ক্রসিং ওভারের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উন্নত বৈশিষ্ট্য বিশিষ্ট নতুন প্রকরণ সৃষ্টি করা যায়।
১২) ক্রসিংওভার কিভাবে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে?
উ: মিয়ােসিস কোষ বিভাজনের প্রথম প্রােফেজে একজোড়া হােমােলােগাস ক্রোমােসােমের দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে যে অংশের বিনিময় ঘটে তাকে ক্রসিংওভার বলে। ক্রসিংওভারের ফলে ক্রোমাটিডের মধ্যে অংশের বিনিময়ের ফলে জিনের বিনিময় ঘটে। এতে জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যেরও পরিবর্তন ঘটে ফলে জীবজগতে জীবের মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।
১৩) জীব জগতে কোষ চক্র গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উ: জীবজগতে কোষচক্র গুরুত্বপূর্ণ কারণ-
- কোষচক্ৰ বহুকোষী জীবের প্রজনন, বৃদ্ধি, মৃতকোষ, প্রতিস্থাপন, ক্ষয়পূরণ ইত্যাদিতে সাহায্য করে।
- কোষচক্রের ইন্টারফেজ দশা থাকায় কোষে বিভিন্ন বস্তুর সংশ্লেষ ও বৃদ্ধি সম্ভব হয়।
- সঠিক ও সুনিপুনভাবে নিয়ন্ত্রিত কোষচক্র জীবের স্বাভাবিক ও সঠিক বৃদ্ধি ঘটায়।
১৪) ক্রোমােজমীয় নৃত্য বলতে কী বােঝ?
উ: মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রাে-মেটাফেজ পর্যায়ে ক্রোমােসােমের সেন্ট্রোমিয়ার স্পিন্ডল যন্ত্রের একটি নির্দিষ্ট তন্তুর সাথে যুক্ত হয়। এ সময় ক্রোমােসােম একটু আন্দোলিত হয়, যাকে ক্রোমােসােমীয় নৃত্য বলে।
১৫) ইন্টারকাইনেসিস বলতে কী বুঝ?
উ: মিয়ােসিস বিভাজন প্রক্রিয়ায় নিউক্লিয়াসের প্রথম ও দ্বিতীয় বিভক্তির মধ্যবর্তী সময়কে ইন্টারকাইনেসিস বলা হয়। এ সময় প্রয়ােজনীয় RNA, প্রােটিন সংশ্লেষিত হয়। তবে DNA এর প্রতিলিপি সৃষ্টি হয় না।
১৬) প্রাণিকোষে সাইটোকাইনেসিস কীভাবে ঘটে?
উ: প্রাণিকোষে টেলােফেজ ধাপের শেষে স্পিন্ডল যন্ত্রের বিষুবীয় অঞ্চল বরাবর কোষঝিল্লিটি গর্তের ন্যায় ভেতরের দিকে ঢুকে যায়। এ গর্ত সব দিক হতে ক্রমান্বয়ে গভীরতর হয়। এভাবে গভীরতর হতে হতে মাঝখানে একত্রে মিলিত হয়। ফলে কোষটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে।
১৭) মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রােফেজ ধাপে ক্রোমােসােম খাটো ও মােটা হয় কেন?
উ: মাইটোসিস কোষ বিভাজনের প্রােফেজ ধাপে কোষের নিউক্লিয়াস আকারে বড় হয় হয় কিন্তু নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান ক্রোমােসােমগুলাে থেকে পানি হ্রাসের ফলে ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে খাটো ও মােটা হয়।
১৮) ক্রসিংওভার কীভাবে সংঘটিত হয়?
উ: প্রথমে দুটি নন সিস্টার ক্রোমাটিড একই স্থান বরাবর ভেঙে যায়। পরে একটির এক অংশের সাথে অপরটির অন্য অংশ পুনরায় জোড়া লাগে। ফলে কায়জমা সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যায়ে প্রান্তীয়করণের মাধ্যমে ক্রোমাটিডের বিনিময় ঘটে। ফলে ক্রসিংওভার সম্পন্ন হয়।
১৯) জীবদেহের ক্ষতস্থান পূরণ করতে মাইটোসিস অপরিহার্য কেন?
উ: জীব কোষে কিছু কিছু কোষ আছে যাদের আয়ুষ্কাল নির্দিষ্ট। এসব কোষ বিনষ্ট হলে মাইটোসিসের মাধ্যমে এদের পূরণ ঘটে। অর্থাৎ ক্ষতস্থানে নতুন কোষ সৃষ্টির মাধ্যমে জীবদেহের ক্ষতস্থানকে পূরণ করতে মাইটোসিস অপরিহার্য।
২০) কোষচক্রে S-দশা সৃষ্টি হয় কেন?
উ: এ দশাটি সৃষ্টি না হলে কোষ বিভাজন সম্ভব নয়। এ দশায় বিভিন্ন হিস্টোন প্রােটিন সংশ্লেষণ হয় যা DNA-র সাথে মিলে নিউক্লিওজোম গঠন করে এবং এ দশায় অন্যান্য প্রােটিন সংশ্লেষণ বজায় থাকে। প্রাণীকোষ ও কিছু নিম্নশ্রেণির কোষে ১ দশায় (ক্ষেত্রবিশেষ G2) সাইটোপ্লাজম-এ সেন্ট্রিওল এর দ্বিত্বকরণ (Duplication) ঘটে। S-দশাকে M দশার অদৃশ্য (Invisible phase) বলা হয় কারণ এ দশায় ক্রোমােসােমের প্রতিলিপিকরণ ও ক্রোটিড গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
২১) প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলতে কী বুঝ?
উ: অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয়। এ বিভাজন প্রক্রিয়াতে একটি মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম জটিল মাধ্যমিক পর্যায় ছাড়াই সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে থাকে। ব্যাকটেরিয়া, Amoeba, yeast প্রভৃতিতে প্রত্যেক্ষ কোষ বিভাজন ঘটে থাকে।
২২) মাইটোসিস কোষ বিভাজনকে সােমাটিক কোষ বিভাজন বলা হয় কেন?
উ: মাইটোসিস কোষ বিভাজন বলতে সাধারণত নিউক্লিয়াসের বিভাজনকে বােঝায়। তাই কোষ বিভাজনের নামকরণ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের জন্য মাইটোসিস কোষ বিভাজনকে “সােমাটিক
কোষ বিভাজন” বলা হয়। কেননা এ কোষ বিভাজন দেহকোষে ঘটে
২৩) মাইটোসিস কেন হয়?
উ: মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ফলে অপত্যকোষ মাতৃকোষের অনুরূপ গুণাবলি বহন করে। অপত্য কোষে মাতৃকোষের গুণগত স্থিতিশীলতা রক্ষা, ক্রোমােসােমের সমতা রক্ষা এবং নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের ভারসাম্য রক্ষা করার মাধ্যমে জীব তার বংশগতি ধারণ করে। এজন্য মাইটোসিস কোষ বিভাজন সংঘটিত হয়।
২৪) জীবের জন্য কোষ বিভাজন প্রয়ােজন কেন?
উ: কোষ বিভাজন জীবের একটি মৌলিক ও অত্যাবশীয় প্রক্রিয়া। জীবের দৈহিক বৃদ্ধি এবং বংশ বৃদ্ধির জন্য কোষ বিভাজন প্রয়ােজন। কোষ বিভাজনের মাধ্যমে এককোষী জীব থেকে বহু সংখ্যক এককোষী জীব এবং বৃহৎ বৃক্ষ সৃষ্টি হয়। উপরােক্ত কারণে জীবের জন্য কোষ বিভাজন প্রয়ােজন।
২৫) ক্রোমােসােমের মেরুমুখী চলন কেন দেখা যায়?
উ: সেন্ট্রোমিয়ার সংযােগকারী ট্রাকশন ফাইবারের সংকোচনের ফলেই প্রধানত অপত্য ক্রোমােসােমের মেরুমুখী চলন ঘটে থাকে। অনেকক্ষেত্রে ক্রোমােসােমগুলাের গতি বিষুবীয় অঞ্চল হতে মেরুর দিকে দুই-তৃতীয়াংশ অগ্রসর হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়। এসময় দুই মেরুর কাছাকাছি ক্রোমােসােমগুলাের মধ্যবর্তী স্থানে কাণ্ডদেহ নামক বস্তুর সৃষ্টি হয় যার প্রসারণে ক্রোমােসােম পুনরায় গতিপ্রাপ্ত হয় এবং মেরুতে পৌঁছায়।
২৬) কোষচক্র প্রক্রিয়াটিমিয়ােসিসে কেন ঘটে না?
উ: মাইটোসিস বিভাজন প্রক্রিয়াটি শুরুর আগেই নিউক্লিয়াসের কিছু প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পন্ন হয়। এখানে, কোমােসােমের দ্বিত্বকরণ ঘটে যা পরবর্তী কোষ বিভাজনকালে অপত্য কোষে কোমােসােমের সংখ্যার সমতা রক্ষা করে। যেহেতু মাইটোসিস দেহকোষের সংখ্যা বৃদ্ধির কাজ করে তাই কোমােসােমের দ্বিত্বকরণে কোষচক্রের প্রয়ােজন হয়। কিন্তু মিয়ােসিসে কোমােসােমের দ্বিত্বকরণের কোনাে প্রয়ােজন পড়ে না। তাই মিয়ােসিসের পূর্বে কোষচক্রের প্রয়ােজন হয় না বা ঘটে না।
২৭) মেটাকাইনেসিস বলতে কী বুঝ?
উ: মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মেটাফেজ ধাপে মেটাকাইনেসিস ঘটে। মাইটোসিস পর্যায়ে ক্রোমােসােমগুলাে সেন্ট্রোমিয়ারের উপরে অবস্থিত কাইনেটোকোরের সাথে মাকুতন্তু দ্বারা যুক্ত হয়ে কোষের বিষুবীয় অঞ্চলে এসে বিন্যস্ত হয়। মাকুতন্ত্রের এ বিষুবীয় অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট তলে ক্রোমােসােমগুলাে সাজানাে থাকে, একে মেটাফেজ প্লেট বলে। মেটাফেজ প্লেটে ছােট ক্রোমােসােমগুলাে ভিতরের দিকে ও বড় ক্রোমােসােমগুলাে পরিধির দিকে সাজানাে থাকে। ক্রোমােসােমের এ বিন্যাস মেটাকাইনেসিস নামে পরিচিত।
২৮) জীবের জীবনে ইন্টারফেজের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উ: জীবের জীবনে ইন্টারফেজের গুরুত্ব নিচে ব্যাখ্যা করা হলাে -
- কোষটি পরবর্তী কোষ বিভাজনে অংশগ্রহণ করবে কিনা তা ইন্টারফেজ-এর প্রথম দিকেই ঠিক হয়।
- পরবর্তী কোষ বিভাজনের জন্য প্রােটিন, RNA ও DNA প্রতিলিপনের সকল উপাদান তৈরি হয়।
- DNA প্রতিলিপন হয়।
- কোষ বিভাজনের প্রয়ােজনীয় স্পিন্ডল তন্তু তৈরির জন্য মাইক্রোটিউবিউলস সৃষ্টি হয়।
- কোষ বিভাজনের প্রয়ােজনীয় শক্তি (ATP) তৈরি হয়।
- ইন্টারফেজ পর্যায় না থাকলে বিভাজন পর্যায় সম্পন্ন হবে না। বিভাজন প্রক্রিয়া না থাকলে কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি, জীবের পূর্ণাঙ্গ গঠন ও বিকাশ হবে না, অর্থাৎ নতুন জীবই সৃষ্টি হবে না।
Comments
Post a Comment