Skip to main content

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নামকরণ

*

রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো রাষ্ট্র সংক্রান্ত বিজ্ঞান (Science of the state)। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ রীতি অনুসরণে রাষ্ট্র এবং সরকার নিয়ে অধ্যয়নের যে শাস্ত্র গড়ে উঠেছে তাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলা যায়। সমাজ জীবন শুরুর সাথে সাথেই মানুষ আজকের মত রাষ্ট্র গঠন করতে পারে নি। প্রাচীনকালের কওম বা গোত্রবদ্ধ মানুষের জীবন থেকে সমাজ, জনপদ থেকে জনসমাজ এবং অবশেষে জাতিত্বের অহংকারে জনসমাজ থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনে পরিণতি লাভ করেছে। রাজনীতি সংক্রান্ত অধ্যয়নকেই আমরা রাাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে অভিহিত করতে পারি।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নামকরণ সম্পর্কে অনেক মতভেদ রয়েছে । গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটল এই শাস্ত্রটিকে রাজনীতি (Politics) নামে অভিহিত করেছেন। আবার কেউ কেউ এ শাস্ত্রকে রাষ্ট্রীয় দর্শন (Political Philosophy) বলে আখ্যায়িত করেছেন। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ক্যাটলিনের মতে, রাজনীতি ও রাষ্ট্র দর্শন এ দুই বিষয় নিয়েই রাষ্ট্রবিজ্ঞান। ফ্রেডরিক সিজউইক, জেলিনেক প্রমুখ পন্ডিতগণ এ শাস্ত্রকে রাষ্ট্রনীতি বলে উল্লেখ করেছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞান শাস্ত্রটিকে প্রধানত তত্ত্বগত রাজনীতি (Theoretical Politics) ও ব্যাবহারিক রাজনীতি (Applied Politics) এ দু'ভাগে ভাগ করা যায়। তত্ত্বগত রাজনীতি বলতে রাষ্ট্রদর্শনের অন্তর্ভুক্ত বিষয়বস্তুকে বুঝায়। তত্ত্বগত রাজনীতি রাষ্ট্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করে। ব্যবহারিক রাজনীতি রাষ্ট্রের কার্যাবলী পর্যালোচনা করে। যেমন, শাসনতন্ত্র, শাসনতান্ত্রিক আইন, নির্বাচক মন্ডলী, আইন সভা, আইন প্রণয়ন পদ্ধতি ইত্যদি।

Comments