*
পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র
৪র্থ অধ্যায় - নিউটনিয়ান বলবিদ্যা
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১) দ্বন্দ্ব কী?
উ: কোনাে দৃঢ় বস্তুর দুটি ভিন্ন বিন্দুতে সমান মানের দুটি বলের পরস্পর বিপরীত দিকে ক্রিয়া করাই হলাে দ্বন্দ্ব।
২) বলের ঘাত কী?
উ: কোনাে বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল এবং বলের ক্রিয়াকালের গুণফলই বলের ঘাত।
৩) জড়তার ভ্রামক কী?
উ: একটি নির্দিষ্ট অক্ষের চারদিকে ঘূর্ণায়মান দৃঢ় বস্তুর প্রত্যেকটি কণার ভর এবং ঘূর্ণন অক্ষ থেকে প্রত্যেকটি কণার দূরত্বের বর্গের গুণফলের সমষ্টিই জড়তার ভ্রামক।
৪) কৌণিক ভরবেগ কাকে বলে?
উ: ঘূর্ণায়মান কোনাে বস্তু কণার অবস্থান ভেক্টর অর্থাৎ ঘূর্ণন অক্ষ হতে দূরত্ব এবং বস্তুকণার রৈখিক ভরবেগের ভেক্টর গুণফলকে কৌণিক ভরবেগ বলে।
৫) টর্ক কাকে বলে?
উ: কোনাে দৃঢ় বস্তুর উপর বল প্রযুক্ত হলে বস্তুটির মধ্যে কোনাে নির্দিষ্ট বিন্দু বা অক্ষের সাপেক্ষে ঘুরবার যে প্রবণতা সৃষ্টি হয় তাকে বলের ভ্রামক বা টর্ক বলে।
৬) স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ কাকে বলে?
উ: যে সংঘর্ষে বস্তুসমূহের মােট গতিশক্তি ও মােট ভরবেগ অপরিবর্তিত থাকে এবং সংঘর্ষের পর বস্তুসমূহ আলাদা থাকে, সেই সংঘর্ষকে স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ বলে।
৭) চক্রগতির ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
উ: কোনাে দৃঢ় বস্তুর সমগ্র ভর যদি একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করা যায় যাতে করে একটি নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে ঐ কেন্দ্রীভূত বস্তুকণার জড়তার ভ্রামকের সমান হয়, তাহলে ঐ নির্দিষ্ট অক্ষ থেকে কেন্দ্রীভূত বস্তু কণার লম্ব দূরত্বকে চক্রগতির ব্যাসার্ধ বলে।
৮) বল কাকে বলে?
উ: যে বাহ্যিক কারণ বস্তুর গতি বা স্থিতি অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় বা ঘটাতে চায় তাকে বল বলে।
৯) মৌলিক বল কাকে বলে?
উ: যে সকল বল মূল বা অকৃত্রিম অর্থাৎ অন্য কোনাে বস্তু থেকে উৎপন্ন হয় না তাকে মৌলিক বল বলে।
১০) ঘাত বল কাকে বলে?
উ: খুব অল্প সময়ের জন্য খুব বড় মানের যে বল কোনাে বস্তুর ওপর প্রযুক্ত হয় তাকে ঘাত বল বলে।
১১) কেন্দ্রমুখী বল কাকে বলে?
উ: যে বলের ক্রিয়ায় কোনাে বস্তু সমদ্রুতিতে বৃত্তপথে চলতে থাকে এবং যে বল সবসময় বস্তুর গতিপথের সঙ্গে লম্বভাবে ভেতরের দিকে অর্থাৎ বৃত্তের কেন্দ্রাভিমুখে ক্রিয়া করে তাকে কেন্দ্রমুখী বা অভিকেন্দ্র বল (Centripetal force) বলা হয়।
১২) 1 পাউন্ডাল কাকে বলে?
উ: যে বল 1 পাউন্ড ভরবিশিষ্ট কোনাে একটি বস্তুতে প্রযুক্ত হয়ে 1 ফুট/সে2 ত্বরণ সৃষ্টি করে তাকে 1 পাউন্ডাল বলে।
১৩) ভরবেগের সংরক্ষণ নীতি বা নিত্যতার সূত্র বিবৃত কর।
উ: নিউটনের গতির দ্বিতীয় সূত্র থেকে আমরা জানি যে, কোনাে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুটির ওপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক। সুতরাং বস্তুটির ওপর কোনাে বাহ্যিক বল প্রযুক্ত না হলে ভরবেগের কোনাে পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ ওই বস্তুর রৈখিক ভরবেগ অপরিবর্তিত থাকে। এটিই হলাে রৈখিক ভরবেগের সংরক্ষণ নীতি বা নিত্যতার সূত্র।
১৪) মৌলিক বল কত প্রকার ও কী কী?
উ: মৌলিক বল চার ধরনের। যথা- মহাকর্ষ বল, তড়িৎ-চুম্বকীয় বল, সবল নিউক্লিয় বল ও দুর্বল নিউক্লিয় বল।
১৫) ভরবেগ কাকে বলে?
উ: বস্তুর স্তর ও বেগের সমন্বয়ে বস্তুতে যে ধর্মের উদ্ভব হয় তাকে বস্তুর ভরবেগ বলে। ভরবেগ = ভর x বেগ
১৬) নিউটনের গতির দ্বিতীয় সূত্র বিবৃতি কর।
উ: ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুর ওপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক। এই বল যে দিকে ক্রিয়া করে ভরবেগের পরিবর্তনও সেদিকে ঘটে।
১৭) কৌণিক ভরবেগের নিত্যতা বা সংরক্ষণ সূত্র বিবৃত কর।
উ: বস্তুর উপর ক্রিয়ারত বহিস্থ টর্কের লব্ধি শূন্য হলে, ঘূর্ণায়মান বস্তুর কৌণিক ভরবেগের পরিবর্তন হবে না। এটিই কৌণিক ভরবেগের নিত্যতা বা সংরক্ষণ সূত্র।
১৮) কেন্দ্রমুখী ত্বরণ কাকে বলে?
উ: শূন্য বা শূন্যের কাছাকাছি সময় ব্যবধানে, কেন্দ্র স্থির রেখে কোনাে বস্তু চক্রাকারে ঘূর্ণনশীল হলে, বস্তুর কেন্দ্র অভিমুখে যে প্রযুক্ত বেগ বৃদ্ধির হার সৃষ্টির হয়, তাকে কেন্দ্রমুখী ত্বরণ বলে।
১৯) কেন্দ্রবিমুখী বল কাকে বলে?
উ: সমদ্রুতিতে বৃত্তপথে আবর্তনরত বস্তুর ওপর অভিকেন্দ্র বলের সমান ও বিপরীতমুখি অর্থাৎ কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে একটি অলীক বল ক্রিয়া করে। একে কেন্দ্রবিমুখী বা অপকেন্দ্র বল বলে।
Comments
Post a Comment